বাঁশখালীতে ধর্ষণের পর হত্যা, স্ত্রী পরিচয়ে দাফন

উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামে অচেনা এক নারীকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে! পরে স্থানীয় ধইল্যা ডাকাতের স্ত্রী পরিচয়ে বেড়িবাঁধেই কবর দেওয়া হয়। গত রবিবার রাতে তাঁকে দাফন করা হয়।
হতভাগ্য ওই নারীর বাড়ি উত্তরবঙ্গে হতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন।
বাঁশখালী থানা পুলিশের তালিকাভুক্ত দুর্ধর্ষ ডাকাত ও সন্ত্রাসী আবুল কালাম ওরফে ধইল্যা ডাকাত ওই নারীকে বেড়িবাঁধেই কবর দিয়েছেন। এমনকি তাঁর স্ত্রী পরিচয়ে স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা শামসুল ইসলামকে দিয়ে নিহতের জানাজাও পড়ান। ধইল্যা ছনুয়া ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. নুরুল হকের ছেলে।
পুলিশ জানায়, ধইল্যা ডাকাতের বিরুদ্ধে সাগরে ৩১ জেলে হত্যা, ডাকাতি, ধর্ষণসহ নানা অপরাধে অন্তত ছয়টি মামলা রয়েছে।
জানাজার ইমাম মাওলানা শামসুল ইসলাম বলেন, ‘লাশটি ধইল্যা তার স্ত্রীর পরিচয় দিলে আমি জানাজা পড়াতে রাজি হই। ওই নারীকে যে খুন করা হয়েছে তা আমি জানি না। পরদিন সকালে লোকমুখে ঘটনা জানতে পারি।’
ধইল্যা ডাকাতের স্ত্রী রুমা আক্তার বলেন, ‘আমিই তাঁর স্ত্রী। যে নারীকে কবর দেওয়া হয়েছে তিনি অজ্ঞাত। তাঁকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে বলে ধারণা।’
‘আমাদের সংসারে সন্তানও রয়েছে। কিন্তু আমাদের ধইল্যা দেখে না। স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির কথামতো বিভিন্ন স্থান থেকে নারীদের সে নিয়ে আসে ছনুয়ায়। এর পর হিসাব-নিকাশ না মিললে হত্যা করে মাটিচাপা দেয়।’-যোগ করেন রুমা আক্তার।
বাঁশখালীর ছনুয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবু তাহের বলেন, ‘আমি লাশ দাফনের ব্যাপারে শুনেছি। তবে বিস্তারিত জানি না।’ তিনি ব্যবসায়িক কাজে এলাকার বাইরে আছেন জানিয়ে বলেন, ‘ডাকাত ধইল্যা আমার ওয়ার্ডের নোয়াপাড়ার বাসিন্দা।’
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে কেউ আমাকে জানায়নি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।’
/কালের কন্ঠ!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ