সারা আনোয়ারার উদ্যোগে আনোয়ারায় সড়ক সচেতনতা কর্মসূচি পালিত


আনোয়ারা-বাঁশখালী পিএবি সড়ক দূর্ঘটনা এড়াতে নিজে সচেতন হই অন্যেকে সচেতন করি” এই স্লোগানে আনোয়ারা চাতরী চৌহমুহনী চত্বরে গণ সচেতনতা র‍্যালী, মানববন্ধন ও লিফলেট বিতরণ করেন আনোয়ারার অন্যতম সামাজিক সংগঠন সারা আনোয়ারা।
শুক্রবার(১৮ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে গণসচেতনতা কর্মসূচি পালন করা হয়।সারা আনোয়ারার প্রধান পৃষ্ঠপোষকতা আব্দুল মালেক চৌধুরী বলেন, সড়ক-মহাসড়কে মৃত্যুর মিছিল কিছুতেই থামছে না। চালকের অবহেলা, অনভিজ্ঞতা, অদক্ষতা কিংবা আরোহীদের অসচেতনতা যাই বলি না কেন, সড়ক দুর্ঘটনা যে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। প্রতিটি দুর্ঘটনার পেছনে আলাদা আলাদা কারণ আছে।
ড্রাইভারদের ঘুম ঘুম ভাব অবস্থায় গাড়ি চালানো, ট্রাফিক আইন মেনে না চলা, বেপরোয়াভাবে ওভারটেকিং করা এবং গাড়ি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ইত্যাদি কারণেও অনেক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। দুর্ঘটনা ঘটলে যে শুধু যানবাহনের ক্ষয়ক্ষতি হয় তা নয়, প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে অহরহ। অনেকে আবার হয়ে যায় সারা জীবনের জন্য পঙ্গু। যারা পঙ্গু হয়ে যায় পরবর্তীতে তাদের জীবন হয়ে ওঠে খুবই দুর্বিষহ। এসব মাথায় রেখে গণসচেতনতা উদ্দেশ্যে সারা আনোয়ারা এই সচেতনতা র‍্যালী,মানববন্ধন ও লিফলেট বিতরণের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়।গণসচেতনা কর্মসূচির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের বিস্ফোরক পরিদর্শক মোঃ শামশুল আলম, তোফাজ্জল হোসাইন, সহকারী বিস্ফোরক পরিদর্শক মোঃ মেহেদী ইসলাম খান, আনোয়ারা থানা উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ গোলাম ফারুক ভূইয়া, চাতরী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী,বাংলা পোস্টবিডির সম্পাদক সাংবাদিক এম আলী হোসেন,সাংবাদিক এম মোরশেদ,সাংবাদিক সুমন শাহ,সাংবাদিক ইমরান হোসেন ফোরকান প্রমুখ।সারা আনোয়ারার উদ্যোগে গণসচেতনতা কর্মসূচিকে সফল করতে কাজ করেন সারা আনোয়ারা পরিবারের প্রকৌশলী ছলিম আল আনোয়ার, সাংবাদিক মহিউদ্দীন মনজুর, শিরিন ফাতেমা,মাসুদ করিম, মুহিদ,শওকত আলী পারভেজ,ওমর ফারুক,সাজ্জাদ মেহের, মহিউদ্দীন, মিনহাজুল আবেদীন, হাফেজ মিনহাজ,হাফেজ একরাম, হাফেজ জাহেদ, ইরফান,বারেক, রাতুল, আকিব,রিমন, ফয়সাল,জোনায়েদ, তরিকুল, মিজানুর, মনির, আরাফাত, ইব্রাহীম, আবু রাশেদ, রকিব, সাকিব, ওয়াহিদ, মোঃ সাজ্জাদ, জাবেদ প্রমুখ।

কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম প্রধান কারণ হলো মানুষের অসচেতনতা। তবে ড্রাইভার ও যাত্রীরা একটু সচেতন হলেই শতকরা ৮০ ভাগ দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। আর মহাসড়কে যেহেতু অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটে অতিরিক্ত গতি, বেপরোয়া ওভারটেকিংয়ের কারণে। তাই অতিরিক্ত গতি ও বেপরোয়া ওভারটেকিং নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সেই সাথে নতুন ও অনভিজ্ঞ, অদক্ষ চালকদের জন্য কার্যকরী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সবার আগে আইনের প্রয়োগ জরুরি। তবে অনেক সময় শুধু আইন প্রয়োগ করেও সড়ক দুর্ঘটনা কমানো যায় না,তাই সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ছোট বড় নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ