সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গু মোকাবেলায় বেশি সতর্ক থাকার আহ্বানঃ সানিয়া তহমিনা।

মুহাম্মদ মহিউ‌দ্দিনঃ
২৬ আগস্ট সোমবার দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে চট্টগ্রাম জেলার ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ ও লাইন ডিরেক্টর কমিউনিক্যাবল ডিজিজ কন্ট্রোল) সানিয়া তহমিনা বলেন, “সাধারণত অগাস্ট-সেপ্টেম্বরে দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিলেও এ বছর জুনের শুরুতেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। জুলাইয়ে এসে তা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু বর্তমানে ডেঙ্গু পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও সেপ্টেম্বর মাসে সর্তক থাকতে হবে।প্রতিবছর এটি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যায়। পিক টাইম সেপ্টেম্বরে। যদি কোনো কারণে কার্যকরভাবে এটি নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তাহলে... এখানে একটাই পদ্ধতি সেটা হচ্ছে সোর্স রিডাকশন (রোগের উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করা বা মশা নির্মূল করা)।”
উপস্থিত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং সরকারি হাসপাতালের দায়িত্বরতদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “প্রত্যেক নাগরিককে সচেতন করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। যদি সোর্স রিডাকশনে আমরা সবাই মিলে কাজ না করি, তাহলে ট্রেন্ড থামানো যাবে না।সেপ্টেম্বরে এই রোগটি প্রকোপ বাড়ে। আবহাওয়া অনূকুলে থাকবে বলে আমাদের বসে থাকলে হবে না। প্রতিকূল আবহাওয়াও সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য সচেতন থাকা জরুরি।”ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার পর তাদের বাড়ির অন্য কেউ আক্রান্ত হচ্ছে কিনা সেই খোঁজ রাখতেও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন সানিয়া তহমিনা। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবির, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক আখতারুল ইসলাম, জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক অসীম কুমার নাথ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সেলিম আকতার চৌধুরী প্রমুখ।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ২৫১ জন, যে সংখ্যা আগের দিন ছিল এক হাজার ২৯৯ জন।নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার হাসপাতালগুলোতে ৫৭৭ জন এবং বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ৬৭৪ জন ভর্তি হয়েছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ