বাঁশখালীর বাণীগ্রামে ভন্ড জিকুর প্রতারণার জাল দিনে চলে নিঃসন্তানকে সন্তান দানের ব্যাবসা রাতে বসে নেশার আসর

বাণীগ্রাম নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
  চট্রগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ২নং সাধাণপুর উনিয়নের বাণীগ্রাম নামক গ্রামটি বিভিন্ন ঐতিহ্যের স্বাক্ষর বহন করে। বেশীর ভাগ মানুষের কাছে পূর্ণভুমি বাণীগ্রাম হিসেবে পরিচিত। শিব কল্পতরু ঋষিরাজ শ্রীমৎ স্বামী অদ্বৈতানন্দ পুরী মহারাজ ও প্রয়াত অসংখ্য জ্ঞানভান্ডার মহামানবের জন্ম এই গ্রামে। স্বামীজীর জীবন কাহিনী পড়লে আমরা যা পাই তা হল মানব সেবার অকল্পনীয় দৃষ্টান্ত যা আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।এই স্মরণীয় স্থানে সরেজমিনে পরিদর্শন করতে গিয়ে স্থানীয় জনসাধারণের সাথে কথা বলে তারা  জানান  বছর দশেক আগে থেকে কিছু সমাজপতি টাইপের মানুষের কারণে এই গ্রামের ছেলেরা মদ আর গাঁজার নেশায় আসক্ত হয়ে দিন রাত নেশার মধ্যে ডুবে আছে,স্থানীয় সহ বাঁশখালী প্রশাসন কে বোকা বানিয়ে, গত কয়েক বছর  ধরে তারা নেশা করার এক অভিনব পন্থা বের করেছে। প্রতিবন্ধী এক যুবক কে গেঁড়ুয়া কাপড় পরিয়ে নামের শেষে লাগিয়ে দিয়েছে মহারাজ। আমাদের জানা নাই কত ত্যাগ আর সাধনা করলে নামের শেষে মহারাজ লিখা যায়। তার পুরো নাম দিয়েছে শ্রীমৎ স্বামী চপলানন্দ পুরী মহারাজ (জিকু), পাহাড়ে ডেরা বানিয়ে নাম রেখেছে ভোলানাথ ধাম। প্রতিদিন দিনের বেলায় করে যাচ্ছে  নিঃসন্তানকে সন্তান দেওয়ার ব্যাবসা রাতে বসে নেশার আসর, প্রতিবছর এখানে যজ্ঞ আর মহোৎসবের সময় প্রকাশ্যে চলে নেশার আসর। উৎসবের সময় কমিটির কেউ কেউ নেশায় এতটাই মাতাল থাকেন সারারাত বিশ্রীভাবে প্যান্টের চেইন খোলা থাকলেও তাদের হুস থাকেনা।ই মহারাজও নাকি আবার বাংলা (ছোলায়) মদ আরা গাঁজায় আসক্ত।  শুদু  এই কাজে নয় আরো বড় বড় অপরাধের সাথে জড়িত যেমন কিছুদিন আগে নকল জন্মনিবন্ধন কার্ড বানাতে গিয়ে চৌকিদার প্রমীর  হাতে নাতে ধরে জবর ধোলাই দিয়ে আর কোন দিন এমন অপরাধ করবেনা বলে গ্রামের মানুষকে সাক্ষী রেখে প্রতিশ্রতি দিলে চৌকিদার তাকে ছেড়ে দে। পরে এই সব  অসমাজিক কর্মকাণ্ডের খবর স্থানীয় জনসাধারণের ফেইসবুক স্ট্যাটাস দিলে তা মিডিয়ার নজরে পড়ে, সেই থেকে মিডিয়ার বিভিন্ন সাংবাদিক গণ তার অসামাজিক কর্মকাণ্ডের পেছনে লেগে সব তথ্য

 প্রমাণ সংগ্রহ  করে,সরজমিনে তার বাড়িতে গিয়ে তার সাথে কথা বলে জানতে চেয়েছি তোমার কাছে এই সব লোক আসে তাদের কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে কি
জন্য নাউ,আর রাতে নেশার আসর বসাও, তোমার এই আয় থেকে সংগঠনকে কত টাকা করে দিতে হয় জিজ্ঞেস করলে কোন জবাব দিতে পারেনি, দূরদুরান্ত থেকে আসা লোক গুলির সাথে কথা বললে তারা ৩০০ টাকা করে ফ্রি  দিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে এসেছে বল জানান তারা,রোগীদের উদ্দেশ্যে করে বলি আপনারা কে কত বার এসেছেন এখানে কোন ফল কি পেয়েছেন এক গরীব মহিলা বলে উঠলেন আমি অনেক দিন যাবত  এখানে আসতেছি তিনি নাকি নিঃসন্তানকে সন্তান দেন এই বিশ্বাসে আমি আসতেছি আমার অনেক টাকা খরচ হয়েছে এই পর্যন্ত সন্তান লাভের আশায়,  জিকু কাছ থেকে জানতে চাইলে  ওনি সন্তান কবে পাবে বলতে পারবেন আর কি করলে ওনার সন্তান পাবে, শুধু একটি কথা বলেছেে সময় হলে পাবে
বলে ঘরের ভিতর ডুকে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দে, পরে দিন ২৬ জুলাই  জাতীয়  দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকায় নিউজটি আসলে কিছু দিনের জন্য কোথায় গা ড়াকা দিয়ে লুকিয়ে পড়ে, কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতে আবার নাকি সেই শ্রীমৎ স্বামী চপলানন্দ পুরী মহারাজ প্রকাশ ভন্ড (জিকু) অসামাজিক কর্মকাণ্ড শুরু করে, স্থানীয় সূত্রে জানতে পেয়ে বাণীগ্রাম সাধনপুর   উচ্চ বিদ্যালয়ে পাশে তার বাসায় গেলে বাসায় দেখি অনেক লোকের সমাগম,তার মধ্যে এক জন লোক দেখলাম লম্বা দারির সেই পশ্চিম দিখে করে বসে সাদা কাগজে রোগীদের নাম লিখে টাকা গ্রহণ করে, পরে কার  কি  সমস্যা সেই সবের ঔষধ লিখা লিখি করছে,ভন্ড জিকুর কাছে এই সব লোক গুলি কেনো এসেছে কোথায় থেকে এসেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন তারা সকলে রোগ মুক্তি জন্য আমার কাছে চিকিৎসা নিতে এসেছে, কোন কোন এলাকা থেকে এসেছে জানতে চাইলে ভন্ড জিকু বলে রাওজান, হাটহাজারি, পেকুয়া, পটিয়া থেকে থেকে এসেছে,তার সাথে কথা শেষ করে তার বাসা থেকে বের হলাম , হঠাৎ দারি ওয়ালা লোকটি আমাদের দিখে এসে বলে তোমরা কে এখানে কেনো এসেছ মতলব কি, আমরা বলি আমরা কোন মতলব নেয়, আমরা সাংবাদ কর্মী, আর আপনি জানেন এক জন সাংবাদ কর্মী হিসাবে  সমাজের ভালো খারাপ ফুটিয়ে তোলা আমাদের কাজ, আপনারা সাংবাদিক তো এখানে কেনো আর কোন জায়গা পেলেন না এখানে আর আসবেন না হবর ধার আমি কে জান, আমি বলি আপনি কে, তিনি বলেন আমি বীর মুক্তি যোদ্ধা ওমুক আমাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছিনে, জবাবে  বীর মুক্তি যোদ্ধা কে বলি আপনি এতো বড় লোক হয়ে এখানে কেনো আসলেন এদের অপকর্মের সাথে কেনো নিজেকে ঝড়িয়ে নিলেন, আপনি বলুন আল্লাহ না চাইলে দুনিয়ায় কেউ আপনাকে সন্তান দিতে পারবে, আমাকে জানান কোন আনসার না দিয়ে ঘরে ডুকে দরজা বন্ধ করে দে,
পরে জানতে পারলাম তিনি বাঁশখালীর মুক্তি যোদ্ধার কোন তালিকায় তাহার নাম নেই, এদেশে এখনও ফুতপাতের ভিখারি থেকে উচুঁতলার শিক্ষিত মানুষেরাই বিশ্বাস করে গুরুদের ইশ্বর প্রদত্ত ক্ষমতা আছে, এদের প্রধান উদ্দেশ্য সুবিধাভোগী ভক্ত অথবা গুরুদের দ্বারা পরিকল্পিত ভাবে প্রচারিত শুন্যে ধ্যান করা, নিঃসন্তানকে সন্তান দেওয়া, এদের ছোঁয়ায় কঠিন রোগ মুক্তি হওয়া সহ আরও হরেক রকম গাল গল্প, প্রচার করে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস অর্জন করা। এসমস্ত ভন্ডরা ধর্মগুরুতো নয়ই এমনকি ধার্মিক মানুষও নয়। এরা ভন্ড ও প্রতারক। ধর্মের নামে এদের উদ্দোগটি ঠান্ডা মাথায় ধর্মকে পুঁজি করে প্রতারনার জাল বিস্তার করে প্রচুর সম্পদের মালিক হওয়া। ইদানিং আবার কিছু গুরুরা পানিপড়া আর তাবিজ ব্যবসাও করে প্রতারণা ব্যবসায় জড়িত। সরল মানুষকে বোকা বানিয়ে স্বর্গ পাইয়ে দিতে অথবা প্রচুর ধন সম্পদের মালিক বানিয়ে দেবার আশা দিয়ে এরা নিজেরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাচ্ছে, এই সমস্ত ভন্ড পীর, বাবাজী, মাতাজীরা দেশ জাতি ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর। তাদের দ্বারা প্রকৃত ধর্ম যেমন আক্রান্ত হচ্ছে তেমনি প্রকৃতধার্মিকেরাও প্রতারণার শিকার হচ্ছে।স্থানীয় বাণীগ্রাম বাসীর সকলের একটি আহ্বান এরকম নতুন আর একটি রাম রহিম শিং হবার আগে প্রতিহত করতে,এবং নেশার আসর চলাকালীন অবস্থায়পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করে মাদক নির্মুলে সহযোগীতা করার জন্য।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ