ভোরের পাখি জানান দেবে ভ্যালেন্টাইন’ডের সঙ্গী কেমন হবে!

রাত পোহালেই বিশ্ব ভালবাসা দিবস। আর এ দিবসে কেন্দ্র করে অনেক পরিল্পনা করে রেখেছেন প্রেমিক-প্রেমিকারা। তবে জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে ভালবাসা দিবসে ভোরবেলার পাখি দেখেই জেনে নেয়া যায় জীবনসঙ্গী কেমন হবে।

পাখি নিয়ে এই ভবিষ্যদ্বাণী করা পাশ্চত্য লক্ষণ শাস্ত্রের দু’হাজার বছরের পর্যবেক্ষণের ফল। দেখে নেয়া যাক সেই ফলগুলি-
(১)পায়রা- পায়রা দেখলে হবু স্বামী বিদেশ ফেরত হতে পারে।
(২) চড়ুই- ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে চড়ুই দেখলে বোঝায়, তার হবু স্বামী জমি সংক্রান্ত কোনো কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। কৃষিজীবী, মালি, নার্সারির মালিকও হতে পারে।
(৩) পাতিহাঁস- ভোরবেলা পাতিহাঁস দেখলে বোঝায়, তার বিবাহিত জীবন হবে মধ্যবিত্ত, তবে সুখের জীবন হবে। সেখানে গৃহসুখ বিরাজ করবে। স্বামী তার হাত ধরে সংসার জীবন পরিচালনা করবে।
(৪) রাজহাঁস- রাজহাঁস দেখলে বোঝায় তার হবু স্বামী কমিউনিকেশনে বা মাসমিডিয়ার বা শিল্প সংক্রান্ত কোনো কাজ যেমন সাংবাদিকতা, মার্কেটিং, শিল্পী, লেখক, নাটক, শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত থাকবে।
(৫) ময়ূর- হবু স্বামী বড় সরকারি আমলা বা বড় কোন কাজে যুক্ত থাকতে পারেন। তবে স্বভাবে তার মধ্যে অহংকারভাব থাকবে।
(৭) পেঁচা- যদি কোন বিবাহযোগ্য কুমারী কন্যা ভালেন্টাইন ডের ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে পেঁচার দর্শন পায়, তা হলে তা খুব শুভ। তার মানে তার হবু স্বামী হবে গবেষক, রিসার্চ স্কলার, বিজ্ঞানী বা এই জাতীয় কর্মের সঙ্গে যুক্ত।
(৮) বক বা মাছরাঙ্গা- যে কুমারী কন্যা এই ধর‌নের পাখির দেখা পায়, তবে তার হবু স্বামী আগে থেকে অনেক টাকাকড়ি করে ফেলেছে বা পূর্বপুরুষ থেকে উত্তারাধিকারসূত্রে পেয়েছে। যার ফলে তার দাম্পত্য পরবর্তী জীবন সুখের হবে।
(৯) রবিন- কোনো কুমারী ভোরবেলা যদি রবিন পাখি দেখে, তবে তার হবু স্বামী হয় নাবিক, মেরিন ইঞ্জিনিয়ার বা জাহাজে কাজ করা কেউ। স্টিমার বা লঞ্চ চালক, এমনকি নৌসেনাও হতে পারে।
(১০) কেউ যদি কোনো পাখিকে ভোরবেলা শিকার করতে দেখে, তা হলে বোঝায় তার হবুস্বামী রাজনীতির লোক বা ব্যবসায়ী ব্যাক্তিত্ব অথবা নেতা হতে পারে।
(১১) কাঠঠোকরা: কাঠঠোকরা দেখলে ধরে নিতে হবে এ জীবনে তার বিয়ে হবে না।
ডেইলি বাংলাদেশ/টিএএস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ