চট্টগ্রামের পটিয়ায় আকাঁবাকাঁ সড়ক আর থাকছে না

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরাকান সড়কের পটিয়া অংশের বিভিন্ন জায়গায় মহাসড়কে আর আকাঁবাকা না থাকার ঘোষণা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি রবিবার সকালে ‘বঙ্গবন্ধু ট্যানেলের খনন কাজের উদ্ধোধন এবং এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
জানাগেছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরাকান সড়কের পটিয়া অংশে প্রায় একডজন আকাঁবাকাঁ মোড় রয়েছে। এসব মোড়ে প্রতিনিয়ত সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি পটিয়ার কমলমুন্সি হাট এলাকায় কয়েক দফায় সড়ক দূর্ঘটনার কারণে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এসব বিষয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আসলে তিনি সুধী সমাবেশে এ ঘোষণা দেন। এদিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরাকান সড়ক চার লাইনে উন্নীত করার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যার টেক থেকে শিকলবাহা ক্রসিং পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা চার লাইনে উন্নীত করার কাজ প্রায় ৯০ভাগ সম্পন্ন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরাকান সড়কের শিকলবাহা ক্রসিং থেকে পটিয়া বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় একডজন বাঁক রয়েছে। এসব আকাঁবাকাঁ রাস্তা ও বাকের কারণে প্রতিনিয়ত সড়ক দূর্ঘটনা ঝানজট ও স্বাভাবিক গাড়ী চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটে। আকাঁবাকাঁ রাস্তা ও বাকের মধ্যে ক্রসিং এলাকা, পটিয়া কুসুমপুরা ইউনিয়নের ভেল্লাপাড়া, হরিণ খাইন, মনসা বাদাম তলা এলাকা, শাহগদী মার্কেট, গৈড়লার টেক, আমজুর হাট, পৌরসদরের ইন্দ্রপুল, মুন্সেফ বাজার, থানার মোড়, ডাকবাংলো, বাসষ্টেশন, শাহচান্দ আউলিয়া মাজার গেইট, কমলমুন্সির হাট, খরনা ও বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় সম্মুকের বাক ও আকাঁবাকাঁ সড়ক অন্যতম। এসব জায়গায় প্রতিনিয়ত মানুষ ঝুঁকি নিয়ে রাস্তাপারাপার ও যাত্রী পরিবহনে চালকরা হিমশীম খেয়ে পড়ে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণাকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ স্বাগত জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগটি একটি বাস্তবসম্মত ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ ও ভোক্তভোগি মহল। অপরদিকে পটিয়ার ইন্দ্রপুল থেকে কমলমুন্সির হাট পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার বাইপাস সড়কের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এটি উদ্ধোধন করা হলে পটিয়া শহরে আর যানঝট থাকবে না বলে মনে করেন স্থানীয়রা। কারণ দূরপাল্লার গাড়ীগুলো তখন সহজেই পাইপাস হয়ে দ্রুত পৌছে যাবে। তাতে পটিয়া শহরের মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কমবে।
/প্রিয় চট্টগ্রাম! 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ