সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আজ সবার দৃষ্টি গাজীপুরে

বিএন ডেস্কঃ
গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ আজ মঙ্গলবার। এই সিটির ১১ লাখের বেশি ভোটার আজ তাদের নতুন মেয়র নির্বাচনের জন্য ভোট দেবেন। ফলে নতুন মেয়র কে হচ্ছেন তা নিয়ে এক দিকে যেমন ব্যাপক কৌতূহল কাজ করছে, অন্য দিকে ভোটের ফল নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরামহীনভাবে চলবে ভোট গ্রহণ। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল সোমবার বিকেলের মধ্যেই নির্বাচনসামগ্রী সব ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে পুরো সিটি করপোরেশন এলাকা। নির্বাচনী এলাকায় টহল দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। নির্বাচনী এলাকার সব অফিস, মিল-কারখানা, স্কুল কলেজসহ প্রতিষ্ঠানগুলোয় আজ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এ দিকে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার গতকালও দাবি করেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ধানের শীষ প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে এবং বিনা কারণে তাদের গ্রেফতার করছে। এতে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, একটি অসমতল মাঠে গাজীপুর সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের এটি দ্বিতীয় নির্বাচন। এর আগে ২০১৩ সালে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে মেয়র পদে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক এম এ মান্নান নির্বাচিত হন। গত রাতে ভোট প্রদানের উপযোগী করে তোলা হয় কেন্দ্রসহ ভোটকক্ষগুলো। কোনো নাশকতা বা অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, এপিবিএন ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ১৬ হাজার সদস্য।
নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা এক মাসের বেশি সময় ধরে চলে। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী গত রোববার রাত ১২টায় শেষ হয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা। এখন পর্যন্ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে কোনো সহিংস ঘটনা ঘটেনি। তবে একাধিক প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ পাওয়া যায়। বিশেষ করে মেয়র পদে সরকারদলীয় প্রার্থী ও তার কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের একাধিক অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার। তিনি বলেন, বিনা কারণে গ্রেফতার করা তার কর্মী-সমর্থকদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারছেন না তাদের স্বজনেরা। তিনি এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং গ্রেফতারকৃতদের ভোটের আগেই মুক্তির দাবি জানান।
নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়কারী ডা: মাজহারুল আলম জানান, নির্বাচনের এক দিন আগে ব্যাপক ধড়পাকড় শুরু হয়েছে। এতে ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীসহ সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। রোববার রাতে বিএনপি নির্বাচন পরিচালনার সাথে জড়িত ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও র‌্যাব। গ্রেফতারকৃতদের কারোর বিরুদ্ধেই কোনো মামলা নেই এবং রাতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডাররা মুখোশ পরে পুলিশের সাথে গ্রেফতার অভিযানে অংশ নেয়। বিশেষ করে ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনার সাথে সংশ্লিষ্ট নেতাকর্মী-সমর্থকদের তালিকা ধরে গ্রেফতার অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
প্রার্থীরা গতকাল ভোটের কর্মকৌশল নিয়ে কর্মব্যস্ত দিন পার করেছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী মো: জাহাঙ্গীর আলম সকাল থেকেই মালেকের বাড়ি ছয়দানা এলাকায় প্রধান নির্বাচন পরিচালনা কার্যালয়ে দাফতরিক কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।
থাকছে ৬০০ র‌্যাব সদস্য
নির্বাচনীকাজে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ৫৭টি ওয়ার্ডে র‌্যাবের ৫৭টি টহল দল মোতায়েন করা হয়েছে। রোববার রাতে র‌্যাব-১ এর পোড়াবাড়ি ক্যাম্প থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, র‌্যাবের ৬০০ জন সদস্য নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। র‌্যাবের প্রতিটি টহল দলে আটজন করে সদস্য থাকবেন। প্রতি ৪ ওয়ার্ডে একজন করে ১৪ জন অফিসার নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। সার্বক্ষণিক তদারকিতে থাকবেন র‌্যাব-১ উত্তরার অধিনায়ক মো: সারওয়ার-বিন-কাশেম। এ ছাড়া চারটি ডগ স্কোয়াড ও বোম ডিসপোজাল ইউনিটও থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
ইভিএমের মক ভোটিংয়ে আগ্রহ কম
নির্বাচনে ছয়টি ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে। এ জন্য ইতোমধ্যে ইভিএম ভোটিং প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ৪৮ জনের একটি প্রশিক্ষিত টিম এ কাজ করেন। গতকাল সকাল ১০টা থেকে সংশ্লিষ্ট ভোট কেন্দ্রগুলোয় ভোটারদের সম্পৃক্ত করে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কারিগরি টিমের সমন্বয়ে মক ভোট চলে বেলা ৩টা পর্যন্ত। কিন্তু সরেজমিন দেখা গেছে ওই সব কেন্দ্রে গতকাল দুপুর পর্যন্ত ভোটারদের তেমন উপস্থিতি ছিল না। জেলা শহরের রানী বিলাসমনি সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ছয়জন ভোট দিয়েছেন। স্থানীয় ভোটার মমতাজ বেগম জানান, আমাদের কাছে এ পদ্ধতিটি ঝামেলাপূর্ণ মনে হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল জানান, গাজীপুরের চাপুলিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (ভোটার-২৪৮০), চাপুলিয়া মফিজউদ্দিন খান উচ্চবিদ্যালয় (ভোটার-২৫৫২), পশ্চিম জয়দেবপুরের মারিয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র-১ (ভোটার-২৫৬২), মারিয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র-২ (ভোটার-২৮২৭), রানী বিলাসমনি সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র-১ (ভোটার-১৯২৭) ও রানী বিলাসমনি সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র-২ (ভোটার-২০৭৭) এ ছয়টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করার জন্য নির্বাচন কমিশনে প্রস্তাব পাঠানো হয়। কেন্দ্রগুলোর অবকাঠামো ও যাতায়াতব্যবস্থা, এলাকার পরিবেশ এবং এলাকাবাসীর শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ নানা বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এ কেন্দ্রগুলো নির্বাচন করা হয়।
প্রার্থী, সমর্থক কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেদিক থেকেই অনিয়ম হোক না কেন, তা কঠোরভাবে দমনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল। তিনি গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘যদি কেউ নির্বাচনে অন্যায়-অনিয়ম করে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কড়া মেসেজ দেয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত সিটি মেয়র ও কাউন্সিলর পদে জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ের এই নির্বাচনে ৪২৫টি কেন্দ্রে ভোটারসংখ্যা ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন। সাত মেয়র প্রার্থীর পাশাপাশি ২৫৪ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ৮৪ জন সংরতি মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বিএনপির মেয়রপ্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার তার কর্মী-সমর্থকদের নির্বিচারে গ্রেফতারের অভিযোগ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘তারা অভিযোগ করলে আমরা সাথে সাথে আমলে নিচ্ছি। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপকে লিখিতভাবে এবং মৌখিকভাবে অবহিত করছি। তদুপরি কমিশনে আমরা চিঠি দিচ্ছি। কমিশন থেকেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপরে সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
‘কালকে পুলিশ সুপারকে লেখা একটি চিঠি আমরা পেয়েছি, যাতে বলা আছে, ফেরারি ছাড়া কাউকে বিনা কারণে হয়রানি করা যাবে না এবং নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্ট করা যাবে না। সে বিষয়টি আমরা প্রার্থী হাসান সরকারকেও জানিয়েছি, অন্যান্য প্রার্থীকেও জানিয়েছি। পুলিশ সুপারকেও জানিয়েছি, যাতে সবাই সচেতন থাকে।’
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মো: ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বলেন, ৪২৫টি কেন্দ্রের ২৭৬১টি বুথে ভোট হবে। গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ হলেন ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৫ এবং নারী হলেন ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১ জন। প্রতি কেন্দ্রে একজন করে প্রিজাইডিং এবং প্রতি বুথে একজন করে সহকারী প্রিজাইডিং এবং দুইজন করে পোলিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে স্মরণকালের সবচেয়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দেশে প্রথমবারের মতো কোন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অধীন একটি করে ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকছে। আর তিনটি ওয়ার্ড মিলে থাকছেন একজন করে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ ছাড়া ভোটকেন্দ্রে গোলযোগ সৃষ্টিসহ মিথ্যা ভোটার সেজে ভোট প্রদানের চেষ্টা করলে তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দুই বছরের সাজা দেয়ার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে বলে জানান গাজীপুরের জেলা প্রশাসক।
মেয়র প্রার্থী ৭
মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির মো: হাসান উদ্দিন সরকার (ধানের শীষ), আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (নৌকা), ইসলামী ঐক্য জোটের ফজলুর রহমান (মিনার), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো: নাসির উদ্দিন (হাতপাখা), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো: জালাল উদ্দিন (মোমবাতি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কাজী মো: রুহুল আমিন (কাস্তে) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ আহমদ (টেবিল ঘড়ি)।
ব্যাংক বন্ধ
অফিস-আদালত ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আজ নির্বাচনী এলাকার ব্যাংকগুলোও বন্ধ থাকবে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো: সিরাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন উপলক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ ভোটাধিকার প্রয়োগ ও ভোট গ্রহণের সুবিধার্থে নির্বাচনী এলাকায় অবস্থিত ব্যাংকগুলোর আঞ্চলিক কার্যালয়সহ সব শাখা আজ বন্ধ থাকবে।
প্রসঙ্গত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় গত ৩১ মার্চ। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৫ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সীমানা নির্ধারণ নিয়ে জটিলতাকে কেন্দ্র করে হাইকোর্ট গত ৬ মে নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল করেন বিএনপি ও আওয়ামী লীগ মেয়রপ্রার্থী এবং নির্বাচন কমিশন। শুনানি শেষে ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নির্বাচন করার আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আজ ৩২৯ দশমিক ৫৩ বর্গকিলোমিটার এলাকার গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণের পুনরায় তারিখ নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন।
জাহাঙ্গীর-হাসান সরকার কোথায় ভোট দেবেন
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম এবং ২০ দলীয় জোট প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকারের মধ্যে।
সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, ২০ দলীয় প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার সকাল ৮টার দিকে টঙ্গীর বশির উদ্দিন উদয়ন অ্যাকাডেমিতে ভোট দিবেন এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো: জাহাঙ্গীর আলম সকালে সিটি করপোরেশনের কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ