হুজুরের নির্মম বেত্রাঘাতে রক্তাক্ত শিশু শিক্ষার্থী

বি,এন ডেস্কঃ
ফটিকছড়ি পৌরসভার রাঙ্গামাটিয়াই মুনিরুল কোরআন আহমদিয়া হেফজ এতিমখানার হেফজ বিভাগে দায়িত্বরত হুজুরের নির্মম বেত্রাঘাতে রক্তাক্ত হয়েছে মুহাম্মদ আরফাত () নামের এক শিশু শিক্ষার্থী। গত (১৯ মে) ইফতারের পর মাদ্রসা কক্ষে ঘটনাটি ঘটে। শিশুটি ওই এলাকার আছমত উল্লাহ শাহ বাড়ির জনৈক মুহাম্মদ আরফানুল করীম সুমনের ছেলে। শিশুর পারিবারিক সূত্রে জানা পগছে, আহত শিশুর পিতা আরফাতুল করীম সুমন তার একমাত্র ছেলেকে চার মাস আগে ঘরের খুব কাছে ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগে ভর্তি করান। ঘটনার দিন শিশু আরাফাত দুপুরে বাড়িতে যাওয়ার পর মাদ্রাসায় ফেরেনি। সন্ধ্যায়
তার মা ছেলেকে মাদ্রাসায় দিয়ে আসেন। মাদ্রাসায় প্রবেশের সাথে সাথেই দুপুরে যাওয়ার পর যথাসময়ে না ফেরার অপরাধে হেফজ বিভাগের শিক্ষক মৌলানা রমিজ উদ্দিন শিশুটিকে ইচ্ছামতো বেত্রাঘাত করেন। দূর থেকে ছেলেকে মারছে দেখেও কোনো প্রতিবাদ না করে বাড়ি ফেরেন শিশুর মা। ঠিক আধঘণ্টা পরে শিশুটি কান্না করতে করতে পুনরায় বাড়ি ফিরে আসে। তার পরিবার পিঠে রক্তাক্ত জামা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে। জামা উল্টালেই ডোরাকাটা রক্তমাখা বেত্রাঘাতের চিহৃ দেখা যায়। এলাকাবাসীকে নিয়ে শিশুর পরিবার মাদ্রাসায় এসে এর প্রতিবাদ করে। মাদ্রাসা সংশ্লিষ্টরা রবিবার বিকাল ৩টায় একটি বৈঠকে ব্যাপরটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে সবাইকে শান্ত করেন। যথারীতি গতকাল বিকলে ওই বৈঠকটি অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়। আহত শিশু পরিবারের দাবি, মাদ্রাসা সংশ্লিষ্টরা মাদ্রসার হেফজ বিভাগের ওই নরপশুকে পলাতক বলে দাবি করে ঘটনাটি ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করে। বৈঠকটি কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই এলোমেলোভাবে শেষ হয়। এই নিয়ে শিশুর পরিবার থানায় কোনো অভিযোগ কিংবা মামলা করেনি। তবে, সুষ্ঠু বিচার না হলে তারা আইনের আশ্রয় নেবে বলে জানান।
জানতে চাইলে মাদ্রসা পরিচালক পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মৌলানা আবু বক্কর মুনিরী বলেন, ঘটনাটি দুঃখ জনক। ওই ছাত্রের সাথে শিক্ষকের কোনো পারিবারিক শত্রুতা নাই। পড়ালেখার জন্য শাসন করেছে, তবে তা একটু বেশি হওয়ায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আমি ঘটনাটি জানার পর ওই ছাত্রকে ওষুধ কিনে দিয়েছি এবং শিক্ষককেও যা বলার বলেছি। আমরা ঘটনাটি গুরুত্বের সাথে নিয়েছি। এই নিয়ে আমরা বৈঠক করে সমস্যার সমাধান করবো।
জানতে চাইলে স্থানীয় কাউন্সিলর সাংবাদিক রফিকুল আলম জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক। আমি শোনার পর রবিবার বিকালে একটি বৈঠক আহবান করে ঘটনাটি সমাধান করতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু বৈঠকে ওই শিশুর পিতা উপস্থিত না থাকায় কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারিনি। যেভাবে হোক বৈঠকের মাধ্যমে ঘটনাটির সুরাহা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন
সুত্রঃদৈনিক পূর্বকোণ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ