বাঁশখালীতে ধান চাষের আশায় মাঠে অনেকে !

বিএন ডেস্কঃ
বাঁশখালীর আসনটিতে টানা একাদিকবার নির্বাচিত হয়ে এমপি মন্ত্রীও হয়েছেন বিএনপির টিকিট নিয়ে দলীয় প্রার্থী। এবারেও আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠে ময়দানে চষে বেড়াচ্ছেন একাধিকবার নির্বাচিত বিএনপি দলিয় সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী।এছাড়াও বিএনপির চেয়রপারসনের উপদেষ্ঠা অধ্যাপক সঞ্জিব কুমার চৌধুরী, বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের সাবেক সহসভাপতি ও চট্টগ্রাম দক্ষিণজেলা বিএনপি’র সহ সভাপতি এড. ইফতেখার মহসিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণজেলার ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও দক্ষিণজেলা বিএনপির সহ সম্পাদক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী, বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত জামান দুলাল ,চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র কামরুল ইসলাম হোসাইনী সহ সাম্ভব্য প্রার্থীরা আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের দলীয় প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে তারা এলাকার বিভিন্ন সামাজিক, ক্রিড়া, সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিয়মিত হাজির হয়ে তাদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে তারা আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে আগ্রহ প্রকাশ করছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানায়।
বিশেষ করে জাফরুল ইসলাম চৌধুরী দক্ষিণজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে থাকায় বাঁশখালী উপজেলার অধিকাংশ দলীয় কর্মকান্ডে সরব উপস্থিতি দেখা যায়।
লিয়াকত আলী চেয়ারম্যান এই সংকটকালীন মুহুর্তে গন্ডমারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করে সারা বাংলাদেশের ইতিহাস সৃষ্টি করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এছাড়াও বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে দলীয় কর্মসূচি পালনে সারাবাংলাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রিয় একটি নাম লিয়াকত আলী।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্ঠা অধ্যাপক সঞ্জিব কুমার চৌধুরী সারা চট্টগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিএনপির রাজনীতিতে শীর্ষস্থানে প্রথম দায়িত্বপালনে চট্টগ্রামের রাজনীতিতে রেকর্ড করেছে। চট্টগ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ও চান তাদের প্রতিনিধিকে চট্টগ্রাম থেকে এমপি মন্ত্রী হিসাবে দেখতে।
এড. ইফতেখার মহসিন চৌধুরী তিনি চট্টগ্রামে একজন ভাল দক্ষ আইনজীবী হিসেবে ব্যাপক সুনাম রয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা মামলা হামলার শিকার হলে তাদেরকে আইনি সহয়তা দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তিনি বিএনপির আইনসহয়তা প্যানেল আইনজীবীদের অন্যতম সদস্য।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সঞ্জয় চক্রবর্তী মানিক বলেন,“চট্টগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের কোন ব্যক্তি রাজনৈতিক দলের বড় কোন পদে নেই। কিন্তু বাঁশখালী থেকে অধ্যাপক সঞ্জিব কুমার চৌধুরী আমাদের ম্যাডামের উপদেষ্ঠা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছে। উনাকে যেহেতু দলীয় পদে সম্মানীত করেছে, সেহেতু আগামী নির্বাচনেও কোন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্থান দিবেন বলে আশা করি। এটা চট্টগ্রামের হিন্দু সম্প্রদায় বিএনপির হাই কমান্ডের নিকট দাবী জানান।”
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য শহিদুল আলম শহিদ জানান,“ বাঁশখালীর মাটি ও মানুষের সাথে মিশে গেছে জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। উনার বিকল্প কেউ আছে বলে বাঁশখালীর তৃণমূল বিএনপির মনে করেনা।”
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক বলেন,“বাঁশখালীর আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাসে লিয়াকত আলী একজন পরিক্ষিত সৈনিক। ইতোমধ্যে তিনি কাজের মাধ্যমে প্রমাণ দিয়েছে। যদি বিএনপির মনোনয়ন উনাকে দেওয়া হয়, জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।”
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার শাহনেওয়াজ চৌধুরী বলেন, “বাশঁখালীতে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে তৃণমূল নেতা কর্মীদের মতামতের প্রতিফলন হয়। বিগত দিনে সরকার বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রাম কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে জেল জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছে, তাদেরকে যেন মূল্যায়ণ করা হয় এবং বিগত দিনের মত বিএনপির দলীয় প্রার্থীকে ধানের শীষের প্রতীককে বিজয় করার জন্য কাজ করে যাব। বাঁশখালীবাসীও বিএনপির প্রার্থীকে বিজয় করতে অধির আগ্রহে প্রস্তুত।”
সূত্রঃ সিটিজি ক্রাইম নিউজ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ