মন মাতানো মনপুরা

জে এম নাঈম হাসান, ভোলাঃ
  ভ্রমণে দূরে কোথাও যেতে চান এবং দীর্ঘ যাত্রা পথে যদি ক্লান্ত না হয়ে ফিরে আসতে চান, তবে ঘুরে আসতে পারেন মনপুরা দ্বীপ থেকে। মনপুরা বাংলাদেশের ভোলা জেলার একটি বিছিন্ন দ্বীপ মনপুরা দ্বীপ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি। চতুর্দিকে মেঘনা নদীবেষ্টিত সবুজের সমারোহ। মনপুরা দেশের মানুষের কাছে যেমন আকর্ষণীয় ঠিক তেমনি বিদেশিদের কাছেও। হিমালয় থেকে নেমে আসা তিনটি প্রধান নদী পদ্মা, মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র বাহিত পলি দিয়ে মোহনার বুকে জেগে উঠেছে দ্বীপ জেলা ভোলা। এখানেই জেগে ওঠা মনপুরা দ্বীপের।
এই চরাঞ্চলের অতিথি পাখির উড়ে বেড়ানো, হরিণের ছোটাছুটি, নদীর বুকে সারি সারি জেলের নৌকা, দল বেঁধে বুনো মহিষের বিচরণ, ম্যানগ্রাভ বনাঞ্চল, আকাশ ছোঁয়া কেওড়া বাগান আর দিগন্ত বিস্তৃত সৈকত- সব কিছুই মানুষের মন ছুঁয়ে যায়। এখানে ভোরে সূর্যের আগমনী বার্তা আর বিকেলে পশ্চিম আকাশে একটু একটু করে মেঘের আড়ালে হারিয়ে যাওয়ার দৃশ্য অতুলনীয়। আবার রাতে দ্বীপের অন্য রূপ। ঘোমটা জড়ানো বধূর মতো নিস্তব্ধতায় ছেঁয়ে যায় পুরো দ্বীপ। প্রায় আটশ বছরের পুরনো মনপুরা উপজেলা বর্তমানে দক্ষিণাঞ্চল তথা দেশজুড়ে পরিচিত একটি নাম।

 কীভাবে যাবেনঃ
ঢাকা সদরঘাট থেকে সরাসরি লঞ্চে মনপুরা যাওয়া যায়। সময় লাগে প্রায় ১০-১২ ঘণ্টা। এ ছাড়া ভোলা থেকেও ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে যাতায়াত করা যায়।

কোথায় থাকবেন?
 মনপুরায় তিনটি ডাকবাংলো আছে- সরকারি ডাকবাংলো, প্রেসক্লাব বাংলো, কারিতাস বাংলো। খরচ পরবে ৩০০-৫০০ টাকা। 

 কী খাবেন?
 মনপুরা দ্বীপে হাঁসের মাংস খুবই জনপ্রিয়। এছাড়াও মহিষের দুধের দধি, ইলিশ, কোরাল, বোয়ল ও গলদা চিংড়ি বেশ পরিচিত। মরপুড়ায় বিখ্যাত বাবুল ভাইয়ের হোটেলে খেতে পারেন। প্রতি বেলায় খরচ পড়বে ৮০-১০০ টাকা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ