বেকারত্ব ই হচ্ছে দাঙ্গার প্রধান কারণ

বাঁশখালীর দাঙ্গা এখন সব মানুষের আলোচনার প্রতিপাদ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।কোথায় থেকে এই দাঙ্গার উৎপত্তি খুজতে গেলে দেখা যায় সব দাঙ্গার মূল হচ্ছে জায়গাজমি।এক কানি জায়গার দাম দশ লক্ষ টাকা হতে পারে কিন্তু ঐ এক কানি জমির জন্য দশ কোটি টাকার চেয়েও বেশি কোর্টে খরচ করতেছে তারা।দাঙ্গার সুত্র লগ্ন থেকে বর্তমান পর্যন্ত অসহায় মানুষদের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে পুলিশ।এমন একটি দাঙ্গা বাঁশখালীর ইলশা গ্রামে এখন প্র্রতিনিয়ত চলছে।ইলশা গ্রামের দাঙ্গার মূল নায়ক গুলো আজ মরে ভূত।কিন্তু তাদের কর্মের ফল আমাদের গ্রামের মানুষদের এখনো ভোগ করতে হচ্ছে।গ্রামের সবাই আজ মামলার আসামি নাই তাদের চুখে ঘুম পুলিশের ভয়ে কোনো কাজ কর্ম করতে পারছেনা।যার ফলে অনেক পরিবার কে দিনের পর দিন না খেয়ে থাকতে হচ্ছে।যারা শহরে আছে তাদেরকেও কোনো না কোনো ভাবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।

এই দাঙ্গা সমধানের জন্য অনেক বিজ্ঞ ব্যক্তিরা চেষ্টা করছিল এমন কি সাবেক মেয়র মাহমুদুর_রহমান ও অনেক চেষ্টা চালিয়ে ছিল কিন্তু সমাজের কিছু অশিক্ষিত ক্ষতিপয় লোকদের জন্য সমধান করা সম্ভাব হয়নি।এই দাঙ্গা মূলত অজ্ঞতা এবং বেকারত্বের কারণে হয়ে থাকে। যে মানুষগুলো গ্রামে বেকার অবস্তাই পরে আছে তাদের বেশির ভাগ সময় চায়ের দোকানে দেখা যায় আর যখন কেনো কাজ থাকে না একজন অপর জন কে ট্রিটকারি মূলক কথা বলে উসকায় দেয় আর এই উসকানিতে লাটি ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বেরিয়ে পড়ে দুই সমাজের মানুষ।আর পরিণত হয় বিশাল এক দাঙ্গায়।আর এই দাঙ্গা কে সমাজের বেকার লোক গুলো নেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে।এদিকে পুলিশও থাকিয়ে থাকে কবে দাঙ্গা হবে কারণ দাঙ্গা হলেইতু তাদের ইনকাম ভালো হবে।পুলিশ নাকি আইন শৃঙ্কলা রক্ষাকারি বাহিনী কিন্তু তাদের কে বেশির ভাগ দেখা যায় আইন ভঙ্গ করতে।তারা দাঙ্গা শেষ হলে আসবে

এসে যে গ্রুপ তাদের টাকা দিবে তার অপরগ্রুপ কে হয়রানি করবে।দুই দিন আগেও এক গ্রুপ থেকে টাকা নিয়ে অপর গ্রুপের রান্নার চুলা পর্যন্ত ভেঙ্গে দিল পুলিশ যার কারণে ঐ দিন ছো্ট্ট বাচ্ছারা পর্যন্ত হাজার কান্নাকাটি করেও এক মোটো ভাত পাইনি। বিনাদোষে বানানো হলো এক সাজানো নাটক।অকারণে নির্দোষ ব্যাক্তি কে বানানো হলো সন্ত্রাস।ব্যাডরুমে অস্ত্র পাওয়ার নাম করে বানানো হলো সাঝানো নাটক।পরিশেষে বলতে চাই বাঁশখালীর যে এলাকাগুলোতে দাঙ্গা হয় সেই এলাকায় যদি পুলিশ ক্যাম করা হয় আশা করি দাঙ্গা থেকে মানুষ বিরত থাকবে।আর গ্রামের বেকারদের যদি বিভিন্ন কর্মসংস্থান চালু করে কাজকর্মে ব্যস্থ করে তুলা যায় তাহলে দাঙ্গা নামক শব্দটি হয়তু নবিনদের কাঁনের আশেপাশেও থাকবে না।
লেখকঃ মোরশেদুল আলম,হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ