শঙ্খ নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে

গাজী গোফরান, রিপোর্টার,বাঁশখালী নিউজঃ
বাঁশখালী শঙ্খ নদীতে বিভিন্ন পয়েন্টে অবৈধ বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাঁশখালী ৩নং খানখানাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব রায়ছটা এলাকায় শঙ্খ নদী থেকে দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করছে।
এতে হুমকির মুখে পড়েছে শঙ্খ নদীর তীরে অবস্থিত বসতবাড়ি।
বৃহত্তর জনগোষ্ঠির সার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে গুটি কয়েকে প্রভাবশালী ব্যক্তি প্রতিনিয়ত প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে এই (শঙ্খ নদী) এলাকা থেকে অবাধে ড্রেজার মেশিনে বালি উত্তোলন করছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ সাবেক চেয়ারম্যান আব্দু-সবুর, বর্তমান চেয়ারম্যান বদরুউদ্দী, চেয়ারম্যানের ভাগিনা ফরহাদ, সাবেক মেম্বার শহিদ এবং রাইছ মিল দেলোয়ার নামে একটি বালু দস্যু চক্র বর্ষা মৌসুম চলে যাওয়ার সাথেই শঙ্খ নদীর তলদেশ জেগে উঠা বালু মহল থেকে ড্রেজার মেশিনে সরকারি অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছে। এতে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। হুমকীর মুখে পড়েছে শঙ্খ নদীর বাঁধ এবং সাধারণ মানুষের বসতবাড়ি।
স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রশাসন মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধ করলেও পরক্ষণেই আবার বালি উত্তোলন শুরু হয়ে যায়। স্থানীয় সচেতন মহল বলছে প্রশাসনের কাছে বারবার আবেদন করেও বালি উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না।
এ বিষয়ে রহস্যজনক কারণে স্থানীয় ভূমি অফিস সহ প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করে আসছে।
এই বালু দস্যু চক্র বর্ষা মৌসুম চলে যাওয়ার সাথেই শঙ্খ নদীর তলদেশে জেগে উঠা বালু সরকারি অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঐ এলাকার এক ব্যাক্তি জানান,দীর্ঘদিন ধরে ০৩ থেকে ০৫টি টাক্টার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। এদের হাত অনেক লম্বা এরা অনেক শক্তিশালী।
গতকাল বিকালে বালু দস্যু চক্র ফরহাদ ও শহিদ এর সাথে আলাপ কালে তারা বলেন,বালি বিক্রি করতেছি মাত্র এক মাস ধরে। প্রতি টাক্টার ১২০০ টাকা করে বালি বিক্রি করছি , আপনার লাগবে কি কত গাড়ি বালি দিব বলেন। তাকে যখন প্রশ্ন করা হয় আপনার বালু উত্তোলনের লাইন্সেন আছে কি ? পরে তারা রাঘান্নিত হয়ে বলেন, ও বুঝেতে পারছি আপনি সাংঘাতিক সাহেব । যান যান পত্রিকায় লেখালেখি করে কি করতে পারবেন করিয়েন।
স্থানীয় ভূমি অফিসের লোকজন জানায়,কোন রেকর্ড ভূক্ত জমি নদীতে পতিত হলে তা খাস হয়ে যায় আর খাস জমি থেকে কেউ অবৈধ ভাবে বালু তুলতে গেলে সরকারিভাবে অনুমতি নিতে হবে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে বাঁশখালী থানার ওসি আলমগির জানান, অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরোদ্ধে খুব শিগ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ