সাংবাদিক সাব আঁর নাম প্রকাশ নগইজ্জন-বললেন বাঁশখালীর ছাত্র

ক্রাইম রিপোর্টার, বাঁশখালী নিউজঃ
সাংবাদিক সাব আঁর নাম প্রকাশ নগইজ্জনআঁর স্যার অক্কলে আঁরে ফরম ফিলাপ গরাইতু নঅস্যার অক্কলে আঁরার ওয়ার জুলুম শুরু গরি দিইয়্যেবোর্ডর নিয়ম নঅ মানিয়েরে আঁরাত্তুন ২৬০০ টেয়া গরি লর"(সাংবাদিক সাহেব আমার নাম প্রকাশ করবেন নাআমার স্যারেরা আমাকে ফরম ফিলাপ থেকে বঞ্চিত করবেস্যারেরা সবাই আমাদের উপর জুলুম শুরু করে দিছেনশিক্ষা বোর্ডের নির্দেশ অমান্য করে আমাদের কাছ থেকে ২৬০০টাকা আদায় করছে)এসএসসি পরীক্ষার ফরম ফিলাপে নিয়ম বহিঃর্ভূত অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পেয়ে সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে পশ্চিম বাঁশখালীর উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাঁশখালী নিউজকে ঊপরোক্ত কথাগুলো বলেনসম্প্রতি এসএসসি পরীক্ষা ২০১৭' ফরম ফিলাপে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ ওঠেছে বাঁশখালীর প্রায় উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়েএমনকি বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগও দাখিল করেছে অভিভাবক মহলশিক্ষাবোর্ডের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে কিছু অসাধু শিক্ষক এমন অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেনশুধু তাই নয়,তারা দেখাচ্ছেন নানা অজুহাতওগতকাল বাঁশখালীর ছনুয়া কাদেরিয়া উচ্চ
বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে পাওয়া যায় শিক্ষার্থীদের অগণিত অভিযোগের পাহাড়!বাঁশখালীর প্রান্তিক জনপদের নাম ছনুয়া।এই এলাকার মানুষ অত্যান্ত গরীব।কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।অন্যদিকে ছনুয়া হাই স্কুলের শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগ অভিভাবক দরিদ্র কৃষক হওয়ায় তারা স্কুল কর্তৃপক্ষকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করতে হিমশিম খাচ্ছেন।সরকারী নির্দেশ মোতাবেক মানবিক ব্যবসায় শাখার শিক্ষার্থীদের ১৫০০ টাকা বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১৬০০ টাকা আদায়ের জন্য বলা হলেও নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছেনা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।প্রত্যেক ছাত্রের কাছ থেকে ৩০০০ টাকা থেকে ৪০০০টাকা পর্যন্ত আদায় হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অভিভাবকরা।এব্যাপারে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাঁশখালী নিউজকে বিজ্ঞান শাখার এক ছাত্র বলেন,"আমাদের সবার কাছ থেকে ৩০০০-৪০০০টাকা করে নিচ্ছে।এর কম টাকা দিলে ফরম ফিলাপ করা হচ্ছেনা।কি করব ভেবে কুল পাইনা।আমরা তো স্যারদের কাছে অসহায়।" নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিভাবক প্রতিবেদককে বলেন,আমি দিন মজুর।এখন নাকি ছেলের ফরম ফিলাপের টাকা জোগাড় করব নাকি পরিবারের খাদ্য জোগাড় করব;কিছু বুঝার আসেনা।আবার নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ফি। তবে এব্যাপারে জানতে

চাইলে ছনুয়া কাদেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রাক্তন চেয়ারম্যান রেজাউল হক চৌধুরী বলেন,"আমি এতদিন ধরে অতিরিক্ত টাকা আদায় করার কোন ঘটনা শুনিনি।আমি এব্যাপারে হেড মাষ্টারকে অবহিত করব।" অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে মুঠোফোনে প্রধান শিক্ষক মোঃ হোসাইন শরীফি বলেন,"আমি অতিরিক্ত কোনো টাকা আদায় করছিনা" কথা বলে তিনি ফোন কেটে দেন।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইসতিয়াক আহমেদ বলেন,"আমি অতিরিক্ত টাকা আদায়ের একাধিক লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ