ঈদ আসলেই শুরু হয় বকসিসের নামে বাড়তি বাড়ার নৈরাজ্য

জাহেদুল ইসলাম মিরাজঃ
চট্রগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজলার বিভিন্ন সড়কে ঈদ বকসিসের নামে চলছে বাড়তি ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য। প্রতিবাদ করায় কোথাও কোথাও যানবাহনের চালকদের কাছে যাত্রী নাজেহাল হওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।

বাঁশখালী উপজেলার বিভিন্ন সড়কে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাঁশখালী থেকে চট্রগ্রাম । যেখানে প্রতিজন ৮০ টাকা ভাড়া থাকলেও যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা। একটু রাত হলই গুনতে হয় ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা।

তবে বাঁশখালী উপজেলার অন্য সড়কগুলোর অবস্থা যেমন-তেমন কিন্তু - বাঁশখালী প্রধান সড়কের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ।এর পাশাপাশি বাই রাস্তা গুলো আরও করুণ অবস্থার শিকার যাত্রীরা আর ওই সড়কের জন্য যাত্রীরা বাড়তি ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে যানবাহন চালকদের কাছে নাজেহাল হয়েছেন বলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।

জলদী থেকে চাম্বল বাজার যেখানে জনপ্রতি স্বাভাবিক ভাড়া ২০ টাকা আর এখন তার মূল্য বেড়ে দিগুণ ৪০টাকা।এই ভাবে চলছে প্রধান সড়কের মাঝে দিগুণ টাকার কারবার।

তার পাশাপাশি বাই রাস্তায় অবস্থা যেন আরও করুণ  যেখানে খালাইচ্ছার দোকান থেকে জলদি স্বাবাভিক ভাড়া ২০ টাকা আর সেই খানে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ৪০ টাকা। হারুন বাজার সড়কে অবস্থা  তাই স্বাভাবিক ভাড়া ২০টাকা আর এখন ৪০টাকা। জালিয়াখালি সড়কে সড়কের স্বাভাবিক ভাড়া ২০টাকা এখন ৪০টাকা সিএনজিতে।

আর অটোরিকশা নিচ্ছে ৪০টাকার ভাড়া ১৫০ টাকার অধিক। ঈদটা যেন তাদের জন্য বয়ে আনে খুশির জোয়ার  আর সাধারণ জনগণের জন্য যেন যানবাহনে পা দেওয়ায় মুশকিল।

 আর এ বিষয়ে যানবাহন চালকদের কথা হচ্ছে যা বলছি এত টাকার ভাড়া হলে যান, না গেলে বসে থাকেন।

বাঁশখালী সড়কের সিএনজি চালক আবু তাহের  (২৩) বলেন, বছরে দুইটা ঈদ আর এই ঈদে যাত্রীরা যদি আমাদের ২০/৩০ টাকা বেশি না দেয় তবে আর কখন দিবে। তবে তাদের চাহিদা ২০/৩০ টাকারর মধ্যে সিমাবদ্ধ থাকে না। সুযোগমত যে যার মত করে ফাঁকা করছে যাত্রীদের পকেট।

আটোরিক্সা চালক দেলোয়ার (২৪) বলেন, আমরা পুরো রমজানে তেমন সুযোগ সুবিধা পাইনি তাই পুরো রমজানের টাকাটা ঈদের সময় তুলে আনতে হয় এবং তার সাথে কথা বলে আরও জানা যায় এমন কি তিনি ৩০ মিনিটে  নাকী ৮০০টাকা পর্যন্ত আয় করেছি ঈদে।

অতিরিক্ত টাকা ভাড়া বিষয়ে প্রতিবাদ করায় নাজেহাল হতে হয় মাস্টার নজির আহমদ কলেজের ছাত্র সাহাব উদ্দিনকে । তিনি বলেন, আমাদের তেমন আয় নেই আমরা ছাত্র মানুষ বলতে গেলে পরিবার থেকে নিয়ে চলা । তার উপর অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এই যেন মরার উপর খরার ঘাঁ।
যাত্রী বৃদ্ধ মহিলার বলেন, আমি আমার বাপের বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হয়ে গাড়ির জন্য দাঁড়ালাম তখন ৪০ টাকার ভাড়া  ১০০ টাকা দাবি করায় হেটে পথ চলা কষ্টের যেন সীমা ছাড়া অবস্থা । শিগগিরই এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক কর্তৃপক্ষের নিকট এমনটাই দাবি সাধারন যাত্রীদের।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ