আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাঁশখালী ১৬ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেছে ভাইয়ের বিপরীতে ভাই

আসন্ন একাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন দুই ভাই। জাতীয় পার্টির মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী ও নেজামে ইসলাম পার্টির মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী।

মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। বাঁশখালীর সাবেক তিনবারের সাংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র। বর্তমানে যুক্ত আছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে। দায়িত্ব পালন করছেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে। বাঁশখালীতে প্রতিষ্ঠা করেছেন গার্লস কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। খান বাহাদুর বদি আহমদ চৌধুরীর পুত্র হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে লাভ করেছেন বেশ পরিচিতি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও পদচারণা রয়েছে তাঁর। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি চট্টগ্রাম-১৬ বাঁশখালী আসন থেকে নির্বাচন করবেন বলে প্রচার রয়েছে। ইতিমধ্যে জাতীয় পার্টি থেকে সংগ্রহ করেছেন মনোনয়ন ফরম। জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটে থাকার কারণে মহাজোট থেকেই তাঁর নির্বাচন করার সম্ভাবনাটা বেশি। মহাজোট থেকে প্রার্থী হতে তিনি জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানা গেছে। এছাড়াও বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, সংবাদপত্র ইতিমধ্যে তিনি মহাজোটের অনেকটা নিশ্চিত প্রার্থী বলে খবর প্রকাশ করেছেন। যাই হোক, তিনি মহাজোট থেকে নাকি জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে প্রার্থী হচ্ছেন তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আর মাত্র একটি দিন। আগামীকাল ১৯ই ডিসেম্বর ঘোষণা করা হবে মহাজোটের প্রার্থী তালিকা। এমনটাই জানিয়েছেন দলীয় সূত্র।

অন্যদিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২৩ দলীয় জোট থেকে ধানের শীষ প্রতীকে বাঁশখালী আসনে নির্বাচন করার লক্ষ্যে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন জোটের শরীক দল নেজামে ইসলাম পার্টির (একাংশ) চেয়ারম্যান মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বাঁশখালী আসনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন বলে আগেভাগেই ঘোষণা দিয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে প্রেরণের পর মুক্তি চেয়ে বাঁশখালীতে পোস্টারও সাঁটিয়েছিলেন একসময়ে আওয়ামী লীগের আশ্রয়ে থাকা মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী। যাই হোক, কয়েকদিনের মধ্যেই দেখা যাবে বাঁশখালী আসনে ধানের শীষ প্রতীক তথা বিএনপির মনোনয়ন কে পাচ্ছেন? তবে সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী ও গন্ডামারার কারান্তরীণ চেয়ারম্যান লেয়াকত আলী মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী ও মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরীর বাড়ি বাঁশখালীর বৈলছড়ী ইউনিয়নে। মাহমুদুল ইসলাম ও মুফতি ইজহারুল ইসলাম পারিবারিক সম্পর্কে চাচাতো ভাই। মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর পিতার নাম খান বাহাদুর বদি আহমদ চৌধুরী ও মুফতি ইজহারের পিতার নাম কাজী আজিজ আহমদ। সুতরাং বাঁশখালী আসনে আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন তাঁরা দুই ভাই। দুই ভাইয়ের মনোনয়ন ফরম কেনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ নানা সমীকরণে হিসেব মিলাতেও চেষ্টা করছেন। যাই হোক, দুই ভাই যদি দুই নির্বাচনী জোট থেকে মনোনয়ন লাভ করেন তাহলে বাঁশখালীতে একটি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হবে! ইতিমধ্যে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একই আসনে পিতা-পুত্র, চাচা-ভাতিজার মনোনয়ন ফরম কেনার খবর গণমাধ্যম সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি। সবাই এখন দেখার অপেক্ষায়- বাঁশখালী আসনে দুই ভাই শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে পারছেন কি না। অবতীর্ণ হতে পারলেও কে হতে যাচ্ছেন বাঁশখালীর সাংসদ সদস্য।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ