নীলফামারীর জলঢাকায় আমনের ক্ষেতে পঁচন রোগ

মোঃ সাদিক-উর রহমান শাহ্ (স্কলার)ঃ আমন ক্ষেতের মাঠ পর্যায়ে সরকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সঠিক পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ না থাকায় বাধ্য হয়ে কৃষকেরা স্ব-উদ্যোগে ধান গাছের পঁচন সহ নানা রোগ ঠেকাতে ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করছে, তামাকজাত দ্রব্য গুল, শ্যাম্পু. স্যাভলন ও কট্টিম ট্যাবলেট। তবে আমন ক্ষেতের এমন পরিস্থিতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এখানকার কৃষকরা। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার ২২ হাজার ৮ শত ৩০ হেক্টর জমিতে এবারে আমন রোপা চাষ করা হয়েছে। ধান রোপনের ৫০ থেকে ৬০ দিনের মাথায় এসব রোগের আক্রমন দেখা দিয়েছে। পোঁকার আক্রমনে ক্ষতিগ্রস্থ জমিতে কয়েকবার কীটনাশক প্রয়োগ করেও তেমন সুফল আসছে না। এমন অবস্থায় বিপাকে পড়ে এসব কৃষক পঁচন রোগের আক্রমন ঠেকাতে নিজস্ব পদ্ধতিতে ঔষধ হিসেবে প্রয়োগ করছেন, তামাকজাত দ্রব্য গুল, শ্যাম্পু. স্যাভলন ও কট্টিম ট্যাবলেট। ক্ষেত পরিদর্শনে কৃষি অফিসের কোন কর্মকর্তা কৃষকদের পরামর্শ প্রদানে এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ অনেক চাষীদের। এ ব্যাপারে কৃষি অফিস জানিয়েছে, এখন আমন ক্ষেতে পাতা মোড়ানো রোগ, মাঝড়া পোকার আক্রমন, পঁচন রোগ সহ নানা রোগের প্রাদূর্ভাব দেখা দিয়েছে। আমরা এসব রোগের প্রতিরোধক হিসেবে প্রোপিকোনাজল, হেক্সাকোনাজল, কার্বান্ডিজম কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে আসছি। উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের ভাবনচুর এলাকার কৃষক আব্দুল মালেক জানান, আমার ক্ষেতে পঁচন রোগ ধরেছে। ২ থেকে ৩ বার বিভিন্ন কীটনাশক প্রয়োগ করেছি কাজ হয় না। কৃষি অফিসের লোকও আসে না। তাই গুল পানিতে মিশিয়ে ক্ষেত স্প্রে করছি। কৈমারীর কৃষক ছানোয়ার আলম জানান, পাতা মোড়ানো রোগে আমার ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমার এলাকার বিএস (কৃষি অফিসের লোক) কে তাকে দিখিনি। পরামর্শ নেব কার কাছে। বাধ্য হয়ে পানিতে শ্যাম্পু মিশিয়ে ধান ক্ষেতে প্রয়োগ করছি। এমনটি জানিয়েছে বালাগ্রাম ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল ওয়াহেদ। তিনি এ বারে ৩ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছেন। মাঝড়া পোকা দমনে স্যাভলন ব্যবহার করে অনেকটাই উপকৃত হয়েছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাঃ মাহফুজুল হক কৃষকদের কাছে যাওয়ার অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, আমাদের কর্মকর্তাদের তালিকা ও মোবাইল নম্বর অফিসের সামনে ঝুলানো রয়েছে। কৃষকরা আসলে আমরা সঠিক পরামর্শ দিয়ে থাকি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ