জে এম নাঈম হাসান, ভোলাঃ
বরিশাল, ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলা সাবরেজিস্টারী অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মোঃ সফিউললাহ নারী নিয়ে ফুর্তি করার সময় হাতেনাতে ধরা খেয়ে বাঁচার জন্য অফিসের দেয়াল টপকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। তার এমন কেলেংকারীর ঘটনা স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কাছে ভিডিও তথ্য থাকার পরও নিজেকে ধোঁয়া তুলসি পাতা হিসেবে প্রকাশ করার অপচেষ্টায় সে লিপ্ত।
বরিশাল, ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলা সাবরেজিস্টারী অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মোঃ সফিউললাহ নারী নিয়ে ফুর্তি করার সময় হাতেনাতে ধরা খেয়ে বাঁচার জন্য অফিসের দেয়াল টপকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। তার এমন কেলেংকারীর ঘটনা স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কাছে ভিডিও তথ্য থাকার পরও নিজেকে ধোঁয়া তুলসি পাতা হিসেবে প্রকাশ করার অপচেষ্টায় সে লিপ্ত।
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, অপকর্মের সময় স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত কক্ষ থেকে বের হয়ে নিজেকে আড়ালে রাখার চেষ্টায় ব্যস্ত নারীলোভী এই দলিল লেখক। সাংবাদিকরা যখন আটককৃত নারীর বক্তব্য নিচ্ছিলেন তখন সুযোগ বুঝে বাঁচার জন্য দৌড়ে দেয়াল টপকে পালিয়ে যায় সফিউল্লাহ। এসময় তার পরনের লুঙ্গি খুলে যায়। অপরদিকে লোকসমাজ থেকে নিজেকে বাঁচাতে নিজের পরিচয় গোপন রাখার জন্য অনুরোধ করেন এবং সংবাদকর্মীদের পা ধরার চেষ্টাও করেন লম্পট সফিউল্লাহ’র লালসার শিকার ঐ নারী ।
ঐ নারী জানায়, আমার জমির পরচাসহ কিছু জরুরী কাগজপত্রের জন্য তার ( সফিউল্লাহ) কাছে আসলে সে আমাকে সকালে তার কক্ষে এসে দেখা করতে বলে। এই বলে সে কান্নায় ভেঙ্গে পরে। অপরদিকে তার ধারাবাহিক অপকর্ম নিয়ে সংবাদকর্মীদের কাছে মুখ খুললেন উক্ত অফিসের অনেক দলিল লেখক। তারা তার এমন অপকর্মে বাঁধা দিতে গেলে হুমকির শিকার হতেন বলেও জানান।
এমন ঘটনায় সংবাদ প্রচারিত হয় বেশ কয়েকটি অনলাইনসহ স্থানীয় পত্র পত্রিকায়। এসময় তার বক্তব্য নিতে তাকে বহুবার ফোন করলেও সে ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। ২৭ নভেম্বর সোমবার সকাল অনুমান ৭ টায় লালমোহন সাবঃ রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতি সফিউল্যাহ পাটওয়ারী সাবঃ রেজিস্টার অফিসে নৈশ প্রহরির মাধ্যমে ওই মহিলাকে নিয়ে আসে। বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেয়ে সাংবাদিকদের খবর জানায়। সাংবাদিকরা হাতেনাতে তাকে ধরে ফেলায় প্রশ্নের মুখে পড়ে সফিউল্ল্যাহ পাটোয়ারী তাৎক্ষণিক সাবঃ রেজিস্টার অফিসের দেয়াল টপকে পালিয়ে যায়।
অভিযোগ রয়েছে, সফিউল্যাহ পাটোয়ারী গ্রামের সহজ সরল ও জায়গা জমির কাগজপত্র সম্পর্কে অজ্ঞ এমন অনেক মহিলাদের নিশানা বানিয়ে নাইট গার্ডের রুমসহ তার আস্তানায় এনে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হতো। দলিল লেখক সমিতির সভাপতি হয়ে তিনি এখন নিজেকে সর্বসর্বা মনে করেন। সকলকে জীম্মি করে নিজের ইচ্ছেমতো চালান সমিতিকে।
এ ব্যাপারে সফিউল্যাহ পাটওয়ারীর কাছে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। দলিল লেখক সফিউল্যাহ পাটোয়ারীর নারী কেলেঙ্কারী ও সীমাহীন দুর্নীতি সম্বন্ধে জানতে চাইলে সাবঃ রেজিস্টার (অতিরিক্ত দায়ীত্ব) মোঃ আবুল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আমি এখানে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। বিষয়টি আমার উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0 মন্তব্যসমূহ